শেখ রাজীব হাসান, গাজীপুরঃ
গাজীপুরের টঙ্গীতে ক্রসলাইন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাটাই করাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। ৫ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাদাম এলাকায় শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে শ্রমিকরা বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে আহত হয় অন্তত অর্ধশতাধিক।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানায়, সকালে ভাদাম এলাকায় শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ৫৮ রাউন্ড শটগান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের সময় প্রায় অর্ধ শতাধীক শ্রমিক আহত হয়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ৫ জন ও আনসার তিনজন সদস্যও আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ১, এএসআই এমদাদুল হক, ২, মেহেদী, ৩, সাব্বির, ৪, আশরাফুল, ৫, মারুফ তমাল। আহত আনসার সদস্যরা হলেন ১, মোয়াজ্জেম হোসেন ২, রেজাউল করিম ৩, মোহাম্মদ আলী মোল্লা। পরে আহতদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরদিকে টঙ্গীর দাড়াইল এলাকায় এস এন্ড পি সুয়েটার লিঃ পোশাক কারখানায় হঠাৎ করে কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করে, কারখানার ভিতরে শ্রমিকদের নামাজ পড়া, পাঞ্জাবি দাড়ি টুপি পড়ে কারখানায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরবর্তীতে কারখানার শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলন শুরু করে। ঘটনাস্থলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও থানা পুলিশ কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিয়ে শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র অনুযায়ী আইন মেনে কারখানার পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়া হলে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে কর্মস্থলে ফিরে যায়।
এ সময় কারখানায় উপস্থিত ছিলেন,গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ দক্ষিণ ইলতুৎমিস, সহকারী পুলিশ কমিশনার পীযূষ কুমার দে,ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস আলম, টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম।
এ বিষয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস আলম জানান, ক্রসলাইন লিমিটেড পোশাক কারখানার সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। দুটি কারখানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।